ইসলামে যে সকল বিষয়াদি অকাট্য ভাবে নিষিদ্ধ সাব্যস্থ হয়েছে,সুদ তার মধ্যে অন্যতম জঘন্য একটি নিষিদ্ধ বিষয়।ইসলামী পরিভাষায় একে রিবা বলা হয়।আরবী রিবা শব্দটির অর্থ-বৃদ্ধি,অতিরিক্ত,সম্প্রসারন ইত্যাদি।পারিভাষিক অর্থ -মূল সম্পদের এক জাতীয় কিছু হাতে হাতে লেন করে সময়কে উপলক্ষ করে কিছু বেশী গ্রহন করা।প্রদেয় কিছু সম্পদ ঋণ হিসেবে গ্রহনের সময় মূলের অতিরিক্ত লওয়াকে সুদ বলে।বোখারী ভাষ্যকার আল্লামা কাছতালানী রঃ অনুরূপ ই বলেছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা সুদ নিষিদ্ধ করে স্পষ্ট ভাবে ফরমান-و احل الله البيع و حرم الربوا
আল্লাহ ক্রয় বিক্রয় হালাল করেছেন সুদকে হারাম করেছেন। ইসলামের নবী صلي الله عليه وسلم ছয় টি জিনিষ উল্লেখ করে বলেছেন হাতে হাতে এগুলো লেনদেন করে অতিরিক্ত গ্রহন করাই হচ্ছে রিবা।আর রিবা হচ্ছে নিকৃষ্টতম হারাম।কারন হলো সুদের সামাজিক,রাষ্টিয় ও পারলৌকিক ভয়াবহ মন্দ দিক রয়েছে।
সুদ একটি সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ারঃএতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়।গরীবেরা আরো গরীব হয়।সুদখোরদের হাতে সম্পদের বৃহদাংশ চলে যায়।সুদখোর নিষ্টুর হয়।তার নিষ্টুরতার শিকার হয় অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ।তাই আমরা দেখী সুদের দেনা পরিশোদের জন্য কোন কোন মানুষ স্বস্বস্বীয় কিডনী পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হয়।আমি নিজে এক বিচারে ছিলাম,যেখানে সুদখোর তার পাওনাদার কে সুদের টাকা দিতে দেরী হওযায় দা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছিল।এমনি হাজার নজীর এবং অপকারীতার জন্য সর্বজ্ঞাতা দয়াময় আল্লাহ সুদের নিষিদ্ধ করণের আয়াত নাযিল করেই ক্ষান্ত হন নাই।ফরমান- الذين ياكلون الربوا لا يقومون الا كما يقوم الذي يتخبطه الشيطان من المس.অর্থাৎ-যারা সুদ খায়,তারা সে লোকটির মত ই দাঁড়াবে (ময়দানে কিয়ামতে) যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল বানায়।মানে পাগল হয়ে লাঞ্ছিত বেশে সুদখোর ক্বিয়ামতের ময়দানে দাড়াবে।এখানেই শেষ নয়,যারা সুদ থেকে ক্ষান্ত হবে না সুদের দিকে ই ফিরে যাবে,তাদের ব্যাপারে মহান বারী তায়ালা ঘোষণা করেন- فمن عاد فاولاءك اصحاب النار هم فيها خالدونযে পূনরায় সুদের দিকে ফিরে যায় তারা জাহান্নামী।সেথায় তারা চিরকাল অবস্থান করবে।
মহানবীصلي الله عليه وسلم 'র জবানীতে সুদের নিকৃষ্ট পরিনামঃ درهام الربوا اشد عليالله من ست و ثلاثين زينة البيهقيসুদের একটি দিরহাম আল্লাহর কাছে ৩৬ টি জিনা বা ব্যাবিচারের চেয়ে জঘন্য।(বায়হাক্বী শরীফ)আল্লাহর পানাহ।
মুসতাদরাকের অপর এক হাদীছে নবিজী ফরমান-من نبت لحمه من السحت فا النار اولي بهঅর্থাৎ যার মাংশ সুদের দ্বারা বর্ধিত হল তার জন্ন জাহান্নাম ই হল যথাযথ বাসস্থান।সুতরাং সুদ গ্রহীতার পরকালীন পরিনাম কত ভয়াবহ।অথচ বিশ্ব জুরে ব্যাংকিং লেনদেন সুদ ভিত্তিক হওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে!
দয়াল নবী আরো এরশাদ করেন-ان الربواسبعون بابا ادناهاان يقع الرجل علي امه ابن ماجهমানে সুদের সত্তর টি দরজা আছে (নিকৃষ্টতার) এর নিম্ন দরজা টি হচ্ছে একজন পূরুষ তার মায়ের উপর পতিত হওয়া।না'উযুবিল্লাহিল আযিম।
কাজেই মুসলমান দাবীদার একই সাথে সুদ এবং মুসলমানিত্বকে একত্রিত করতে পারে কি ভাবে?আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন।
১৩৬৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ পাক সূরা ক্বাফ ছাব্বিশ পারায় ঘোষণা করেন-ونحن اقرب اليه......
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা ঘোষণা করেন--ওয়া আশিরুহুন্না বিল মা'রুফ "......
বিগত দুই পর্বে আমরা মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা ও মাযহাব মানার বিষয়ে......
আল্লাহ পাক আজ্জা ওয়া জাল্লাহ বিভিন্ন সময় নবী এবং রাসূল......
ভূমিকাঃ যে সকল বিষয় ও গুণ কে ইসলাম সবিশেষ গুরুত্বের......
তাছমীয়াহ বা বিসমিল্লাহ শরীফ পবিত্র কালামে পাকের বরকতময় এক আয়াত।......
ان في خلق السماوات و الارض واختلاف اليل والنهار لايات......
গান বাজনা খেল তামাশা চরিত্র বিনষ্ট করণের বড় এক উপকরণ।......
হিজরী সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:***************************====================================بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله......