আল্লাহ পাক মানুষকে শ্রেষ্ট মাখলুক বানিয়ে সম্মানীত করেছেন। বলেছেন - "লাক্বাদ কাররামনা বাণী আদাম।" অর্থাৎ - আমি আদম সম্প্রদায়কে সম্মানীত করেছি। সম্মানীত করেছি এ জন্য যে আমি আদম সন্তানকে বুদ্ধিবিবেচনা দান করেছি। বিবেক বিবেচনাকে যথা স্থানে ব্যবহার করার যোগ্যতাও দিয়েছি। এর যথাযথ ব্যবহারের দ্বারাই মূলত মানুষ সকল সৃষ্টির প্রতিনিধিত্ব করবে। আল্লাহর চাওয়া ও এটাই। তাই মহান রাব্বুল ইজ্জত আদম সৃষ্টির সূচনা লগ্নে ফেরেস্থাদের মতামত নেয়ার জন্য পরামর্শ করেছিলেন। তাতে বলেছিলেন"- আমি জমিনে আমার প্রতিনিধি বা খলিফা বানাব।ক্বালু আতাজালু ফিহি মাইয়্যুপছিদু ফিহা ওয়াইয়াস ফিকুদ দিমায়া।"
অর্থাৎ - হে আল্লাহ! আপনি কি এমন একজাতি সৃষ্টি করবেন পৃথীবিতে? যারা উহাতে ফসাদ সৃষ্টি করবে এবং রক্ত বহাবে?
দেখা যায় ফেরেস্থাদের আপত্তির কারণ ছিল ওরা জমিনে ফ্যাসাদ করবে ও রক্ত বহাবে। মানুষের মনুষ্যত্বের অন্তরায় এবং মনুষ্যত্বের বিফল জীবনের জন্য দায়ী হবে এ ফ্যাসাদ এবং রক্তারক্তি। এজন্য ইসলাম এ জগন্য মনুষ্যত্ব বিনষ্ট কারী কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করতে হত্যা ও রক্তারক্তি বন্ধ করার কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করেছে। পবিত্র কালামে পাকে বলা হয়েছে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করল তার জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জের ভাষণে মুমিনের রক্ত ও মাল সম্পদকে পবিত্র আমানত ঘোষণা করেছেন। এ আমানতকে যারা সংরক্ষন করেনি তার চুড়ান্ত শাস্থি হচ্ছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।নাহক্ব হত্যা পৃথীবিকে অশান্ত করে তুলে।প্রতিশোধের নেশায় আরো হত্যার জন্ম দেয়। তাই ইসলাম অন্যায় হত্যাকারীর জন্য
সর্বোচ্চ শাস্থির বিধান নিশ্চিত করে রেখেছে দুনিয়ায়। আর পরকালীন জীবনে চিরকালীন জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত করণের সংবাদ দিয়ে রেখেছে। সুতরাং ধর্মপরায়ন কোন মানুষ অন্যায় হত্যা থেকে নিজেকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দূরে রাখে।
৩৭৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আন জাবেরিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আন্নান নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমারা......
আযানের পর দোয়া করা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লামের সুন্নাত......
আল্লাহ পাক মানুষকে শ্রেষ্ট মাখলুক বানিয়ে সম্মানীত করেছেন। বলেছেন -......
মিথ্যা এমন একটি দোষণীয় বিষয় যা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে......
সুন্নাত শব্দটি আরবী। এটি মাসদার বা ক্রিয়ামূল। শাব্দিক অর্থ- রীতি,......
অন্যায় হত্যা একটি জঘন্যতম অপরাধ । এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।......
ইমাম বুখারী (রাহঃ)বলেন,আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি......
بسم الله الرحمن الرحيم قل لااقول لكم عندى حزائن الله......
তাওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা। প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি। ইসলামের......
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের বর্ণনা যে,নিশ্চয় আবু বকর (রা:) মুহাম্মাদুর......