আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের উপর রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করে দিয়েছেন এবং রোজাদারদের জন্য বিপুল সওয়াবের ওয়াদা করেছেন। রোজার প্রতিদান যেহেতু সুমহান তাই আল্লাহ তাআলা এর প্রতিদানকে সুনির্দিষ্ট করেননি। হাদিসে কুদসিতে এসেছে- “রোজা আমার জন্য; আমিই রোজার প্রতিদান দিব।”
রমজান মাসের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এ ফজিলতের মধ্যে রয়েছে-
আল্লাহ তাআলা রোজাদারদের জন্য ‘রাইয়্যান’ নামক জান্নাতের দরজা প্রস্তুত রেখেছেন। বুখারি ও মুসলিমে সাহল (রাঃ) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদিসে নামটি এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “জান্নাতের একটি দরজা আছে; যার নাম হচ্ছে- ‘রাইয়্যান’ কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদারগণ প্রবেশ করবে; অন্য কেউ নয়। এই বলে ডাকা হবে- রোজাদারগণ কোথায়? তখন রোজাদারগণ উঠে প্রবেশ করবে; অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। তারা প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।” [সহিহ বুখারি (১৭৬৩) ও সহিহ মুসলিম (১৯৪৭)]
যে হাদিসগুলো রোজার ফজিলত বর্ণনা করে এর মধ্যে রয়েছে-
আবু সালামা (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বনি আদমের প্রত্যেকটি আমল তারই; শুধু রোজা ছাড়া। রোজা আমার জন্য; আমিই এর প্রতিদান দিব। রোজা হচ্ছে- ঢালস্বরূপ। যেদিন তোমাদের কেউ রোজা রাখে সে যেন অশ্লীল কথা না বলে, চেঁচামেচি না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় সে যেন বলে, আমি রোজাদার। ঐ সত্তার শপথ যার হাতে রয়েছে মুহাম্মদের প্রাণ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুবাসের চেয়ে উত্তম। রোজাদারের জন্য রয়েছে দুইটি খুশি। যখন রোজা ইফতার করে তথা রোজা ভাঙ্গে তখন একবার খুশি হয়। আবার যখন তার রবের সাক্ষাত পাবে তখন একবার খুশি হবে।”[সহিহ বুখারি (১৭৭১)]
৩০০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের উপর রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করে......
কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক ভুমিকম্প দিয়ে শুরু করবেন। বিশ্ব নবী......
আসসালামু আলাইকুম.............. রাসুলুল্লাহ (সা) একদা শাবান মাসের শেষ দিনে সাহাবায়ে......