বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মহানবী (সা:) নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তো বটেই আগেও তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাই আমরা দেখতে পাই মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি ‘হিলফুল ফুজুল’ সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছেন। হিজরোত্তর মদিনায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খল রা এবং চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মদিনায় বসবাসকারী অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বিশেষত ইহুদিদের সাথে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন।
মদিনা সনদ হিসেবে খ্যাত এ সনদের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘তাকওয়া অবলম্বনকারী ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসীদের হাত সমবেতভাবে ওইসব ব্যক্তির হাতে উত্থিত হবে, যারা বিদ্রোহী হবে অথবা বিশ্বাসীদের মধ্যে অন্যায়, পাপাচার, সীমালঙ্ঘন, বিদ্বেষ অথবা দুর্নীতি ও ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর হবে। তারা সবাই সমভাবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, যদিও সে তাদেরই কারো আপন পুত্রও হয়ে থাকে।’
আরেকটি শর্তে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণিতও হবে তার ওপর কিসাস গ্রহণ করা হবে হত্যার পরিবর্তে তাকে হত্যা করা হবে।’ এভাবেই মহানবী (সা:) শুরু করেন মদিনার জীবনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কার্যকর
পদক্ষেপ। মহানবী (সা:) বলেছেন, ‘হত্যাকারীর ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না’ (তিরমিজি)। অন্যত্র বলেছেন,
‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মানুষের মধ্যে হত্যা সম্বন্ধে বিচার করা হবে’ (বুখারি, মুসলিম)।
বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের করণীয় :
সাম্প্রতিককালে ইসলামের নামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে (গুলশান ও শোলাকিয়া) সারা দেশবাসী উদ্বিগ্ন। গভীরভাবে বিবেচনা করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঘটনাদ্বয় ইসলামকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই হয়েছে। অবশ্যই এহেন কর্মকাণ্ড ইসলামবিদ্বেষীদের সুদূরপ্রসারী চক্রান্তেরই ফসল। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য প্রকৃত ইসলামি শিক্ষার ব্যাপক প্রচার প্রসার, পারিবারিক মূল্যবোধ জাগরিতকরণ, সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা বাঞ্ছনীয়।
শেষ কথা…
সমাজ ও রাষ্ট্রবিধ্বংসী দুষ্টত চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে মূলোৎপাটন ও প্রতিরোধ করে ইসলাম বিশ্বব্যাপী শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চায়। ইসলাম চরমপন্থা, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড, নৈরাজ্য এবং অরাজকতার সুস্পষ্ট বিরোধী। ইসলামের নামে যেকোনো হিংসা সৃষ্টিকরা কর্মকাণ্ড অনৈসলামিক ও অনৈতিক। ইসলাম মানুষে মানুষে হৃদ্যতা ওসৌহার্দ্য স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির পৃথিবী গড়ার তাগিদ দেয়।
ভারতের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিত্ব মহাত্মা. গান্ধীর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামকে আমি মহান নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ একটি ধর্ম হিসেবে নিশ্চিতভাবে জ্ঞান করি। তাই আমি পবিত্র কুরআনকে মনে করি মহান আদর্শের ভাণ্ডাররূপে এবং মুহাম্মদ সা:-কে শ্রদ্ধা করি একজন পয়গম্বররূপে
১১৭৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া......
কুরআন সব মানুষের সার্বিক দিক ও বিভাগের সমন্বিত একটি পরিপূর্ণ......
সলামে বিবাহের গুরুত্ব ও পদ্ধতি মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার......
রমজানের রোজা হচ্ছে ইবাদতের মাঝে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান,......
নারীকে হাদীস শরীফে ‘আওরত’ বলা হয়। আওরত শব্দের অর্থ –......
বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে৷ গত ৩০ বছরের মধ্যে......
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও গুণগান একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও প্রতিপালক......
মহান আল্লাহ তাআলার বাণী- “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের মত......
শাওয়াল হলো আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস। এটি হজের তিন......
কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা......