সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মহানবী (সা:)-এর ভূমিকা :
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শনিবার ০১/০৭/২০১৭

বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মহানবী (সা:) নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তো বটেই আগেও তিনি জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাই আমরা দেখতে পাই মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনিহিলফুল ফুজুলসংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছেন। হিজরোত্তর মদিনায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খল রা এবং চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মদিনায় বসবাসকারী অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বিশেষত ইহুদিদের সাথে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন

মদিনা সনদ হিসেবে খ্যাত সনদের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘তাকওয়া অবলম্বনকারী ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসীদের হাত সমবেতভাবে ওইসব ব্যক্তির হাতে উত্থিত হবে, যারা বিদ্রোহী হবে অথবা বিশ্বাসীদের মধ্যে অন্যায়, পাপাচার, সীমালঙ্ঘন, বিদ্বেষ অথবা দুর্নীতি ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর হবে। তারা সবাই সমভাবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, যদিও সে তাদেরই কারো আপন পুত্রও হয়ে থাকে।

আরেকটি শর্তে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণিতও হবে তার ওপর কিসাস গ্রহণ করা হবে হত্যার পরিবর্তে তাকে হত্যা করা হবে।এভাবেই মহানবী (সা:) শুরু করেন মদিনার জীবনে জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কার্যকর
পদক্ষেপ। মহানবী (সা:) বলেছেন, ‘হত্যাকারীর ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না’ (তিরমিজি) অন্যত্র বলেছেন,
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মানুষের মধ্যে হত্যা সম্বন্ধে বিচার করা হবে’ (বুখারি, মুসলিম)

বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের করণীয় :
সাম্প্রতিককালে ইসলামের নামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে (গুলশান শোলাকিয়া) সারা দেশবাসী উদ্বিগ্ন। গভীরভাবে বিবেচনা করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঘটনাদ্বয় ইসলামকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই হয়েছে। অবশ্যই এহেন কর্মকাণ্ড ইসলামবিদ্বেষীদের সুদূরপ্রসারী চক্রান্তেরই ফসল। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য প্রকৃত ইসলামি শিক্ষার ব্যাপক প্রচার প্রসার, পারিবারিক মূল্যবোধ জাগরিতকরণ, সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চরমপন্থা সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা বাঞ্ছনীয়

শেষ কথা

সমাজ রাষ্ট্রবিধ্বংসী দুষ্টত চরমপন্থা সন্ত্রাসবাদকে মূলোৎপাটন প্রতিরোধ করে ইসলাম বিশ্বব্যাপী শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চায়। ইসলাম চরমপন্থা, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড, নৈরাজ্য এবং অরাজকতার সুস্পষ্ট বিরোধী। ইসলামের নামে যেকোনো হিংসা সৃষ্টিকরা কর্মকাণ্ড অনৈসলামিক অনৈতিক। ইসলাম মানুষে মানুষে হৃদ্যতা ওসৌহার্দ্য স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি সমৃদ্ধির পৃথিবী গড়ার তাগিদ দেয়

ভারতের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিত্ব মহাত্মা. গান্ধীর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামকে আমি মহান নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ একটি ধর্ম হিসেবে নিশ্চিতভাবে জ্ঞান করি। তাই আমি পবিত্র কুরআনকে মনে করি মহান আদর্শের ভাণ্ডাররূপে এবং মুহাম্মদ সা:-কে শ্রদ্ধা করি একজন পয়গম্বররূপে

 

১১৭৫

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭