সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

যিলহজ্জ মাসের গুরুত্ব ও ফযীলত
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ৩১/০৭/২০১৭

নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও গুণগান একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও প্রতিপালক সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ সুবহানাহূ ওয়া তা’আলার উদ্দেশ্যে নিবেদিত, যিনি ব্যতীত প্রকৃত সতহ্য কোন ইলাহ নেই। তিনি তাঁর সত্তায় যেমন এক ও অভিন্ন, তেমনি গুণাবলীতেও অনন্য ও অতুলনীয়। আমরা কেবল তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁর নিকটেই সাহায্য চাই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের অন্তরের কুমন্ত্রণা, অনিষ্টতা ও মন্দ ‘আমল হতে তাঁরই আশ্রয়ে বাঁচার দৃঢ় আশা পোষণ করি। অজস্র সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ (সা.), তাঁর সহধর্মিণী ও সাহাবীগণের ওপর।

ঈদ অর্থ বার বার ফিরে ফিরে আসে যে আনন্দ। মুসলিম জীবনে দু’টি ঈদ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার একটি হলো ‘ঈদুল ফিতর’ বা ‘রোযার ঈদ’ আর অন্যটি ‘ঈদুল আযহা’ বা ‘কুরবাণীর ঈদ’। ঈদুল ফিতরের মহত্ব হলো পুরো একটি মাস আল্লাহর জন্য মানুষেরা সিয়াম সাধনা করে যে কষ্ট স্বীকার করে, তার সমাপনী দিন। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি যেমন নিহিত থাকে, তেমনি থাকে দীর্ঘ একমাস পর দিনের বেলায় খাবার গ্রহণসহ আরো অন্যান্য আনন্দ উপভোগ। অন্যদিকে ঈদুল আযহার পুরোটা জুড়েই থাকছে ত্যাগ ও কুরবানীর প্রশিক্ষণ। যারা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পূণ্যভূমিতে অবস্থান করছেন, তাদের জন্যে তো রীতিমত সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সামরিক অভিযান পরিচালনার মতই সেখানে রয়েছে আল্লাহর সৈনিকদের জন্য তাঁবু বা ক্যাম্প স্থাপনের পদ্ধতি, রয়েছে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, ইমাম বা সেনাপতির খুতবা বা বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা, পুনরায় কা’বা বা কেন্দ্রে ফেরৎ, তারপর আবারো ক্যাম্পে ফিরে যাওয়া ইত্যাদি। পুরো হজ্জ ইবাদাতের ব্যবস্থাপনাটাই যেন আল্লাহর সৈনিকদেরকে তাঁর জমিনে তাঁর দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য একটা সামরিক ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। মূলত মুসলমানগণ প্রত্যেকেই তাদের প্রতিপালকের জন্য এক একজন সৈনিক। সে যেমনিভাবে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তার নিজেকে হিফাযত করার জন্য নিজ নফসের সাথে ও স্বয়ং ইবলীসের সাথে লড়াই করে, তেমনি সমাজের নানা কুসংস্কার ও ঈমান বিনষ্টকারী বিষয় ও সেসবের প্রচারকদের সাথে লড়াই করে তার কথাশক্তি, বাহুশক্তি ও আন্তরিকশক্তি দিয়ে, ঠিক তেমনি প্রয়োজনে যখন ইমাম আহŸান করবেন তখন জিহাদের ময়দানেও সেই একই সাধারণ মুসলমান সৈনিক হিসেবে লড়াই করবেন আল্লাহর দ্বীনের জন্য। এতে প্রয়োজন পড়লে নিজের প্রাণপ্রিয় সম্পদ, সন্তান এমনকি নিজের জীবনকে কুরআন করতেও সে পিছপা হবে না। হজ্জ ও হজ্জের দিনগুলোর অন্তর্ভূক্ত কুরবানীর ঈদ সে শিক্ষাই প্রতিটি মুসলমানকে দিয়ে যায় প্রতি বছর একবার করে। 
কুরবানীর মহিমা আমাদের জীবনে অপার। নিখুঁতভাবে তাকালে আমরা দেখতে পাব যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই আমরা নিজের জন্য বা কারো না কারো জন্য কুরবানী দিয়ে যাচ্ছি। জীবনের বেশীর ভাগকেই হয়ত নিজের জন্য দিচ্ছি মনে করে কুরবান করছি। কিন্তু তাতে নিজের জন্য খুব কম অংশই থাকে, কেননা মৃত্যুর পরপরই যাবতীয় নিজের সম্পদগুলো অন্যের হয়ে যায়। তাই ‘নিজের জন্য’ যা কিছু সঞ্চয় করা হয়, সেসবেরও খুব সামান্যই নিজের হয়ে থাকে। এর বাইরে মাতা-পিতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশী সকলের জন্যই নানা অংশে ত্যাগ ও কুরবানী আমাদেরকে করতেই হয়। সমাজবদ্ধ জীবন-যাপনে যা জীবনের মূলধারার সাথেই সম্পৃক্ত হয়ে আছে। এত সব ত্যাগ ও কুরবানীর একটা বিনিময় তো মানুষ হিসেবে সবাই পৃথিবীতেই প্রাপ্ত হয়, কিন্তু মুসলমানগণ এ সবের দু’টি প্রতিদান পাবে। একটি পৃথিবীতে যা পাওয়ার তা, অন্যটি পাবে মুসলমান তার প্রভু আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের নিয়তে যদি কোন ত্যাগ ও কুরবানী করে থাকে, তবে আখেরাতে সেসবের পরিপূর্ণ প্রতিদান। অবশ্য মুসলমান হয়েও যদি নিয়ত বা সংকল্পে শুধুমাত্র দুনিয়ার পাওনাকে নির্দিষ্ট করে দেয়, তবে মুসলমান হওয়া সত্তে¡ও আখেরাতে তার জন্য আর কিছু বাকী থাকবে না। সর্বোপরি এ সব ত্যাগ ও কুরবানীর মুখ্য উদ্দেশ্য হয় নিজ থেকে নিয়ে দুনিয়ার কেউ না কেউ। 
আবার দুনিয়াবী কারো জন্য ত্যাগ ও কুরবানীর বাইরেও এমন কিছু ত্যাগ ও কুরবানী আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে চেয়েছেন, যেসবের মূখ্য দিকটাই হয় আল্লাহ তা’আলা, অর্থাৎ শুধুমাত্র তাঁর জন্যই। যেমন, ইসলামের মৌলিক ইবাদাতগুলোসহ এ জাতীয় অন্যান্য ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইবাদাত। সালাত আদায় না করলে বাহ্যিকভাবে দুনিয়ার কারো তেমন কোন ক্ষতি হবে না, কিন্তু আদায় করলে ব্যক্তি নিজেসহ তার আশপাশের সমাজ তা দ্বারা উপকৃত হবে ইত্যাদি। তন্মধ্যে বর্তমানে আমরা পার করছি একটি মৌলিক ইবাদাত হজ্জ ও তার পাশাপাশি কুরবানীর মৌসুম। 
মহিমান্বিত গ্রন্থ আল-কুরআনের ৯নং সূরা আত্-তাওবাহ’র ৩৬নং আয়াতে উল্লেখিত সম্মানিত চারটি মাসের অন্যতম মাস হচ্ছে যিলহজ্জ। এ মাসটি অতীব বরকতময়। এ মাসে কৃত ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, এ মাসের প্রথম দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ দশকে ইবাদত-বন্দেগির তুলনায় আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয় অন্য কোন কাল ও সময় নেই মর্মে হাদিসে এসেছে। 
‘আরাফা দিবস’ হচ্ছে মাগফেরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের শ্রেষ্ঠ দিবস, যে দিবসের সাওম (রোজা) বিগত ও আগত এক বছরের পাপের কাফ্ফারা- এ দিবসটিও যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকেই অবস্থিত। ‘ইয়াউমুন নাহর’ নামক যে দিবসটি হাদিস অনুযায়ী সমধিক মহিমান্বিত দিবস বলে খ্যাত তা যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকেই স্থান পেয়েছে। বড় ঈদ ও একমাত্র আল্লাহর জন্য কুরবানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ‘আমল এ দশকেই স্থান পেয়েছে। সে হিসেবে শবে ক্বদর বাদে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের গুরুত্ব অন্যান্য দিবসকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তবে দুঃখের ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিমÐলে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশক আদৌ কোন গুরুত্বের ব্যাপার নয়।
আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা’আলার প্রত্যেক কাজ বা সৃষ্টি হিকমতে ভরপুর। প্রত্যেক বস্তু বা সৃষ্টিতে তাঁর প্রতিপালকত্বের দলীল এবং একত্বের সাক্ষ্য বিদ্যমান। তাঁর সকল কর্মেই পরিস্ফুটিত হয় তাঁর প্রত্যেক মহামহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত গুণ। কিছু সৃষ্টিকে কিছু মর্যাদা ও বিশেষ গুণ দ্বারা নির্দিষ্ট করা, কিছু সময় ও স্থানকে অন্যান্যের ওপর প্রাধান্য ও গুরুত্ব দেওয়া তাঁর এ কর্মও তাঁর ঐ হিকমত ও মহত্বের অন্যতম। 
আল্লাহ তা’আলা কিছু মাস, দিন ও রাত্রিকে অপরাপর থেকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, যাতে তা মুসলিমের ‘আমল বৃদ্ধিতে সহযোগী হয়। তাঁর আনুগত্যে ও ইবাদতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং কর্মঠ মনে নতুন কর্মোদ্যম পুনঃ পুনঃ জাগরিত হয়। অধিক সওয়াবের আশায় সেই কাজে মনের লোভ জেগে ওঠে এবং তার বড় অংশ হাসিলও করে থাকে। যাতে মৃত্যু আসার পূর্বে যথা সময়ে তার প্রস্তুতি এবং পুনরুত্থানের জন্য যথেষ্ট পাথেয় সংগ্রহ করে নিতে পারে। 
শরীয়তে নির্দিষ্ট ইবাদতের মৌসুম এ জন্যই করা হয়েছে যাতে ঐ সময়ে ইবাদতে অধিক মনোযোগ ও প্রয়াস লাভ হয় এবং অন্যান্য সময়ে অসম্পূর্ণ অথবা স্বল্প ইবাদতের পরিপূর্ণতা ও আধিক্য অর্জন এবং তওবা করার সুযোগ লাভ হয়। এ ধরনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মৌসুমেরই নির্দিষ্ট এক একটা অযীফাহ ও করণীয় আছে, যা দ্বারা আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। এ সব সময়ে আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা’আলার এক বিশেষ অনুগ্রহ ও করুণা আছে, যা দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পুরস্কৃত করে থাকেন। অতএব, সৌভাগ্যশালী সেই হবে, যে ঐ নির্দিষ্ট মাস বা কয়েক ঘণ্টার মৌসুমে নির্দিষ্ট দু’আ, যিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে নিজ স্রষ্টার সামীপ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে। আর সম্ভবত তাঁর অনুগ্রহের অধিকারী হয়ে পরকালে জাহান্নাম ও তার ভীষণ অনলের কবল থেকে নি®কৃতি পাবে। 
আমল ও ইবাদতের নির্দিষ্ট মৌসুমসমূহে আল্লাহর অনুগত ও দ্বীনদার বান্দা লাভবান হয় এবং অবাধ্য ও অলস বান্দা ক্ষতির শিকার হয়। তাই তো মুসলিমের উচিত আয়ুর মর্যাদা ও জীবনের মূল্য সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত হওয়া এবং সেই সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত বেশি বেশি করা ও মৃত পর্যন্ত সৎকাজে অটল থাকা। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমার ইয়াক্বীন উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত করো। [সূরা আল হিজ্জর (১৫): ৯৯] সালেম বিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ইয়াক্বীন’ (সুনিশ্চয়তা) অর্থাৎ মৃত্যু। অনুরূপ বলেছেন মুজাহিদ, হাছান, ক্বাতাদাহ প্রভৃতি মুফাসসিরগণও। (ইবনু কাসীর, ৪/৩৭১ পৃ.) 
যিলহজ্জ মাস হচ্ছে আরবী বর্ষপঞ্জীর সর্বশেষ মাস। মহিমান্বিত গ্রন্থ আল-কুরআনের ৯নং সূরা আত্-তাওবাহ’র ৩৬নং আয়াতে উল্লেখিত সম্মানিত চারটি মাসের অন্যতম মাস হচ্ছে যিলহজ্জ। এ মাসটি রমাযান মাস ব্যতীত সারা বছরের অন্য সকল মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এ মাসটি অতীব বরকতময়। এ মাসটি বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় অনুগ্রহ বটে। এ মাসে কৃত ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, এ মাসের প্রথম দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ দশকে ইবাদত-বন্দেগির তুলনায় আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় অন্য কোন কাল ও সময় নেই মর্মে হাদিসে এসেছে। 
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত ঃ আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি তাঁর নেককার বান্দাদের জন্য এমন কিছু মৌসুম করে দিয়েছেন, যখন তারা প্রচুর নেক ‘আমল করার সুযোগ পায়, যা তাঁদের দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। এ সব মৌসুমের সব চেয়ে বড় ও মহত্বপূর্ণ মৌসুম হচ্ছে যিলহজ্জ মাসের প্রথশ দশ দিন। এ প্রথম দশক একজন নেককার বান্দার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। মূলত ইসলামে যতগুলো মর্যাদাবান ও ফযীলতপূর্ণ দিবস রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যিলহজ্জ মাসের এ প্রথম দশদিন। এ দিনগুলোর মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে অনেক বাণী রয়েছে। এ দশকের ‘ইবাদাত-বন্দেগির তুলনায় আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় অন্য কোন কাল ও সময় নেই মর্মে হাদিসে এসেছে। 
যিলহজ্জ মাসের ফযীলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের কতক দলীল ঃ ১. আল্লাহ রাব্বুল “আলামীন পবিত্র কুরআনে যিলহজ্জ মাসের এ দিবসগুলোর রাত্রিসমূহের শপথ করেছেন। আমরা জানি আল্লাহ তা’আলা যখন কোন বিষয়ের শপথ করেন তখন তা তার গুরুত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। তিনি বলেনÑ ‘শপথ ফজরের ও দশ রাতে।’ [সূরা ফজর (৮৯): ১-২] সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.), ইবনে যুবাইর ও মুজাহিদ (রাহ.) সহ আরো অনেক মুফাসসিরে কেরাম বলেছেন যে, এ আয়াতে নিশ্চয় যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ রাতের কথা বলা হয়েছে। ইবনে কাসীর (রাহ.) বলেছেন এ মতটিই বিশুদ্ধ। শাওকানী বলেন, ‘এ অভিমত অধিকাংশ মুফাস্সিরগণের’ (সূরা ফজরের তাফসীর দ্র., তাফসীরে ইবনে কাসীর, ফতহুল ক্বাদীর, ৫/৪৩২) 
অবশ্য এ দশ রাত্রি বলতে যিলহজ্জের দশ দিনকেই নির্দিষ্ট করে বুঝানোর ব্যাপারে কোন ইঙ্গিত আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর নিকট হতে আসেনি, যা সুনিশ্চিতভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর এ কারণেই এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মতান্তর সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহই এ বিষয়ে অধিক জানেন। (২) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যিলহজ্জের প্রথম দশ দিন হলো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন। এ প্রসঙ্গে বহু হাদিস এসেছে। যার কয়েকটি তুলে ধরা হলো- 
সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে কৃত নেক আমলের চেয়ে আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয় আর কোন আমল নেই। তারা (সাহাবাগণ) প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করা কি তার চেয়ে প্রিয় নয়? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘না, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে ঐ ব্যক্তির কথা আলাদা যে তার প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদে বের হয়ে গেল এবং এরপর তার প্রাণ ও সম্পদের কিছুই সঙ্গে নিয়ে আর ফিরে এল না। (বুখারি, হাদিস নং ৯৬৯; তিরমিজি, হাদীস নং ৭৫৭; দারেমী, ১/৩৫৭; আহমাদ; ইরওয়াউল গালীল, ৩/৩৯৯) 
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (সা.) বলেছেন : এ দশ দিনে (নেক) আমল করার চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিনের কাছে প্রিয় ও মহান কোন আমল নেই। তোমরা এ সময়ে তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) তাকবীর (আল্লাহু আকবার) তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ) বেশি করে পাঠ কর। (আহমদ, হাদীস নং ১৩২, হাদিসটি সহীহ) 
(৩) যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনের চাইতে উত্তম কোন দিন নেই। বর্ণনাকারী বলেন, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ দশ দিন (আমলে সালেহ) উত্তম, না আল্লাহর পথে জিহাদের প্রস্তুতি উত্তম? তিনি বলেন, আল্লাহর পথে জিহাদের প্রস্তুতি চেয়ে তা (আমল) উত্তম। (সহীহ ইবনে হাব্বান, হাদীস নং ৩৮৫৩) এ তিন হাদিসের অর্থ হলো- বছরে যতগুলো পবিত্র দিন আছে তার মাঝে এ দশ দিনের প্রতিটি দিন হলো সর্বোত্তম। যেমন এ দশ দিনের অন্তর্গত কোন জুম’আর দিন অন্য সময়ের জুম’আর দিন থেকে উত্তম বলে বিবেচিত। 
(৪) আল্লাহর রাসূল (সা.) এ দিনসমূহে নেক আমল করার জন্য তার উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। তার এ উৎসাহ এ সময়ের ফযীলত প্রমাণ করে। 
(৫) নবী কারীম (সা.) এ দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলীল ও তাকবীর পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন আলোচিত হয়েছে উপরে ইবনে আব্বাসের হাদিসে। আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন, ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পট জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিন সমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ [সূরা হজ্জ্ব (২২):২৮] এ আয়াতে নির্দিষ্ট ‘দিনসমূহ’ বলতে কোন দিনগুলোকে বুঝানো হয়েছে এ সম্পর্কে ইমাম বুখারি (রাহ.) বলেন- ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে।’ (সহীহ আল-বুখারী, ঈদ অধ্যায়) 
(৫) যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে রয়েছে আরাফা ও কুরবানীর দিন। আর এ দুটো দিনের রয়েছে অনেক বড় মর্যাদা। যেমন হাদিসে এসেছে- আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন, ‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায়?’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৪৮) 
আরাফাহ (যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ)-এর দিনটি ক্ষমা ও মুক্তির দিন। এ দিনে সওম পালন করলে তা দু’বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গণ্য হয়। যেমন হাদিসে এসেছে- সাহাবী আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের সওম আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৬২) তবে আরাফার এ দিনে আরফাতের ময়দানে অবস্থানকারী হাজীগণ সওম পালন করবেন না। কুরবানীর দিনের ফযীলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে- সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে কুর্ত (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলার কাছে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো কুরবানীর দিন তারপর কুরবানী পরবর্তী মিনায় অবস্থানের দিনগুলো।’ (আবু দাউদ-১৭৬৫, হাদিসটি সহীহ) 
(৬) যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের মধ্যেই কুরবানী ও হজ্জ করার মতো বড় আমল রয়েছে। হাফিজ ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, ‘এ কথা স্পষ্ট হয় যে, যিলহজ্জেও প্রথম দশ দিনের বিশেষ গুরুত্বের কারণ হচ্ছে, এ দিনগুলোতে মৌলিক ইবাদতসমূহ যেমন- সালাত, সওম, সদকা, হজ্জ ও কুরবানী আদায় করা হয়ে থাকে। অন্য কোন দিন এমন পাওয়া যায় না যাতে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল একত্র হয়। (ফতহুর বারী, ২/৪৬০)
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিবস অধিক ফযীলতপূর্ণÑ এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। কারণ, এ বিষয়ে অসংখ্য দলিল-প্রমাণ রয়েছে। তবে মতভেদের অবকাশ রয়েছে রাত্রির ফযীলত নিয়ে। অর্থাৎ, রমজানের শেষ দশকের রাত বেশি ফযীলতপূর্ণ না যিলহজ্জের প্রথম দশকের রাতসমূহ বেশি ফজিলতের অধিকারী? বিশুদ্ধতম মত হলো, রাত হিসেবে রমজানের শেষ দশকের রাতগুলো ফজিলতের দিক দিয়ে অধিক মর্যাদার অধিকারী। আর দিবসের ক্ষেত্রে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিবস অধিক মর্যাদার অধিকারী।
ইবনু রজব (রাহ.) বলেন, ‘যখন রাত্র উল্লেখ করা হয় তখন দিবসগুলোও তার মাঝে গণ্য করা হয়। এমনিভাবে, যখন দিবস উল্লেখ করা হয় তখন তার রাত্রিগুলো তার মাঝে গণ্য হয়- এটাই নিয়ম। এ ক্ষেত্রে শেষ যুগের উলামায়ে কেরাম যা বলেছেন সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো, সামগ্রিক বিচারে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের দিবসগুলো রমজানের শেষ দশকের দিবস সমূহের চেয়ে অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন। আর রমজানের শেষ দশকের লাইলাতুল ক্বদর হলো সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন। ইবনুল কায়্যিম (রাহ.) এ ক্ষেত্রে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকের রাতগুলো সবচেয়ে বেশি ফযীলতপূর্ণ। কারণ, তাতে লাইলাতুল ক্বদর রয়েছে। অপরদিকে, যিলহজ্জ মাসের প্রথশ দশ দিনের দিবসসমূহ অধিকতর ফযীলতপূর্ণ, কারণ এ দিনগুলোতে তালবীয়াহ এর দিন, আরাফার দিন, কুরবানীর দিন রয়েছে। (যাদুল মা’আদ: ইবনুল কায়্যিম) মূলত সহীহ দলীল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সারা বছরের সমস্ত দিনের চেয়ে যিলহজ্জেও প্রথম দশ দিনই বিনা বিয়োজনে উত্তম। এমন কি রমযানের শেষ দশ দিনও এই দশ দিনের চেয়ে উত্তম নয়। 
ইবনু কাসীর (রাহ.) বলেন, ‘মোট কথা বলা হয়েছে যে, (যিলহজ্জের) এ প্রথম দশ দিন সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন; যেমনটি হাদীসের উক্তিতে প্রতীয়মান হয়। অনেকে রমযানের শেষ দশ দিনের চেয়েও এ দিনগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ, যে সলাত, সাওম, সাদকাহ ইত্যাদি আমল এ দিনগুলোতে পালনীয় ঐ আমলসমূহই ঐ দিনগুলোতেও পালনীয়। কিন্তু (যিলহজ্জের) ঐ দিনগুলোতে ফরজ হজ্জ আদায় করার অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।’ (তাফসীর ইবনু কাসীর, ৫/৪১২) আবার অনেকে বলেছেন (রমযানের) ঐ দিনগুলোই শ্রেষ্ঠ। কারণ, তাতেও রয়েছে শবে ক্বদর, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। কিন্তু এ দু’য়ের মধ্যবর্তী কিছু উলামা বলেন, (যিলহজ্জের) দিনগুলোই শ্রেষ্ঠ এবং রমাযানের রাত্রিগুলোই শ্রেষ্ঠ। অবশ্য এভাবে সমস্ত দলীল সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আর আল্লাহই বেশী জানেন। (তাফসীর ইবনু কাসীর, ৫/৪১২) 
পূর্বে উল্লেখিত দলীলসমূহ এ কথার প্রমাণ দেয় যে, প্রত্যেক নেক আমল (সৎকর্ম), যা এ দিনগুলোতে করা হয় তা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। অর্থাৎ, ঐ কাজই যদি অন্যান্য দিনে করা হয় তবে ততটা প্রিয় হয় না। আর যা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় তা তাঁর নিকট সর্বোত্তম। আবার এ দিনগুলোতে আমল ও ইবাদতকারী সেই মুজাহিদ থেকেও উত্তম, যে নিজের জান-মালসহ জিহাদ করে বাড়ি ফিরে আসে। অথচ এ কথা সবার জানা যে, আল্লাহর রাহে জিহাদ ঈমানের পর সর্বোৎকৃষ্ট আমল। যেহেতু আবু হুরাইরাহ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কোন আমল সবচেয়ে উৎকৃষ্ট?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান।’ সে বলল, ‘তারপর কি?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ।’ সে বলল, ‘তারপর কি?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘গৃহীত হজ্জ।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬) 
কিন্তু পূর্বোক্ত হাদীসগুলো হতে এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে, সারা বছরের অন্যান্য দিনের সকল প্রকার আমল অপেক্ষা যিলহজ্জের ঐ দশদিনের আমল আল্লাহর নিকট অধিক উত্তম ও প্রিয়তম। সুতরাং ঐ দশ দিনের আমল যদিও জিহাদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ নয়, তবুও অন্যান্য কোন আমলকে ব্যতিক্রম করেনি। তবে এমন এক জিহাদের কথা উল্লেখ করেছেন, যা সর্বোৎকৃষ্ট জিহাদ; যাতে মুজাহিদ শহীদ হয়ে যায় এবং আর ফিরে আসে না; যার ঐ আমল উক্ত দশ দিনের সমস্ত আমলের চেয়েও উত্তম। কোন বস্তুকে যখণ সাধারণভাবে শ্রেষ্ঠ বলা হয় তখন তার অর্থ এই নয় যে, ঐ বস্তু সর্বাবস্থায় ও সকলের পক্ষেই শ্রেষ্ঠ। বরং অশ্রেষ্ঠও তার নির্দেশিত বিধিবদ্ধ স্থানে সাধারণ শ্রেষ্ঠ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর হতে পারে। যেমন, জিহাদ সাধারণভাবে শ্রেষ্ঠ আমল। কিন্তু অশ্রেষ্ঠ কোন নেক আমল তার নির্দেশিত নির্দিষ্ট ঐ দশ দিনে করা হলে জিহাদ থেকেও শ্রেষ্ঠ। অনুরূপভাবে, যেমন রুকু ও সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ কুরআন পাঠ হতেও উত্তম। অথচ কুরআন পাঠ সাধারণ সর্ববিধ তাসবীহ ও যিক্র হতে উত্তম। (ফতোয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ, ২৪/৩৬০; ফতহুল বারী, ৬/৫) 
সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে নেক আমল করার মত প্রিয় আল্লাহর নিকট আর কোন আমল নেই।’ তারা (সাহাবিগণ) প্রশ্ন করলেন হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্র পথে জিহাদ করা কি তার চেয়ে প্রিয় নয়? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘না, আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয়। তবে ঐ ব্যক্তির কথা আলাদা যে তার প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে আল্লাহ্র পথে জিহাদে বের হয়ে গেল অত:পর তার প্রাণ ও সম্পদের কিছুই ফিরে এল না। (বুখারী-৯৬৯, তিরমিজি-৭৫৭) ইবনে রজন (রাহ.) বলেছেন, ‘বুখারীর এই হাদিসটি দ্বারা বুঝা যায় যে, নেক আমল করার মৌসুম হিসেবে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশক হলো সকল দিবসসমূহের চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিনের কাছে অধিক প্রিয়। যা আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় তা তাঁর কাছে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন। হাদিসের কোন কোন বর্ণনায় আহাব্বু (প্রিয়) শব্দটি এসেছে আবার কোন কোন বর্ণনায় আফজালু (মর্যাদাসম্পন্ন) কথাটা এসেছে।’ অতএব এ সময়ে নেক আমল করা বছরের অন্য যে কোন সময়ে নেক আমল করার চেয়ে বেশি মর্যাদা ও ফজিলতের অধিকারী হবে। তাই তো এ সময়ে হজ্জ, কুরবানীর মত গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ সম্পন্ন করা হয়।

 

৬০৯

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭