প্রকাশঃ :
বৃহস্পতিবার ০৪/০২/২০২১
প্রশ্নঃ খাতসমূহ থেকে যাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া অধিক উত্তম:
পবিত্র যাকাত প্রদানের আট প্রকার খাতের মধ্য থেকে তিন প্রকার খাতে পবিত্র যাকাত দেয়া যেতে পারে। যেমন,
১। নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন: নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন যদি তাদের আক্বীদা, আমল বিশুদ্ধ থাকে। তা খেয়ে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করে। এর ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিকে পবিত্র যাকাত দিলে তা আদায় হবে না। যদিও নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন ও গরীব প্রতিবেশী হোক না কেন।
২। গরীব প্রতিবেশী: এ ক্ষেত্রেও উক্ত ১নং শর্তের অনুরূপ।
৩। গরীব ত্বলিবুল ইলম: যারা দ্বীনি ইলম অন্বেষণ করে। তাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া অতি উত্তম এবং লক্ষ-কোটি গুণ বেশী ফযীলতের কারণ। তবে এ ক্ষেত্রেও উক্ত ১নং শর্তের অনুরূপ শর্তের ভিত্তিতে তাদেরকেও যাকাত দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহ তিনি উনার মাকতুবাত শরীফ-এ উল্লেখ করেন। পবিত্র যাকাত আদায়ের খাতসমূহের মধ্যে গরীব ত্বলিবুল ইলমদের পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, মান্নত, কুরবানীর চামড়া বা চামড়ার টাকা দেয়া সর্বত্তোম এবং লক্ষ-কোটি গুণ ছওয়াব অর্জিত হবে। (মাকতুবাত শরীফ)
যাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না:
১। উলামায়ে সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মালানা দ্বারা পরিচালিত মাদরাসা অর্থাৎ যারা লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, কুশপুত্তলিকা দাহ ও অন্যান্য কুফরী মতবাদের সাথে সম্পৃক্ত, সেই সব মাদরাসাগুলোতে পবিত্র যাকাত প্রদান করলে পবিত্র যাকাত আদায় হবে না। যেমন পত্রিকার রিপোর্টে পাওয়া যায়, জামাতী-খারিজীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদরাসায় সংগৃহীত যাকাত, ফিতরা, কুরবানীর চামড়ার মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় করে। যা মূলতঃ তাদের বদ আক্বীদা ও বদ আমল, সন্ত্রাসী কর্মকা-ে তথা ধর্মব্যবসায় ও পবিত্র দ্বীন-ইসলাম বিরোধী কাজেই ব্যয়িত হয়। কাজেই এদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না, যে বা যারা তাদেরকে যাকাত দিবে কস্মিনকালেও তাদের যাকাত আদায় হবে না।
২। ঠিক একইভাবে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা- যেখানে আমভাবে ধনী-গরীব সকলের উপভোগের সুযোগ করে দেয়- এমন কোন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে বা সংগঠনে প্রদান করা হারাম ও নাজায়িয। যেমন ‘আনজুমানে মফিদুল ইসলাম’ এই সংগঠনটি বিশেষ ৩ পদ্ধতিতে মুসলমান উনাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে-
ক) পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমে গরীব-মিসকীনদের হক্ব বিনষ্ট করে তাদেরকে বঞ্চিত করে দিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
খ) অপরদিক থেকে জনকল্যাণমূলক সুবিধা প্রদান ও গ্রহণের মাধ্যমে ধনীদেরকেও পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা খাওয়ায়ে তথা হারাম উপভোগের মাধ্যমেও তাদের ইবাদত-বন্দেগী বিনষ্ট করে দিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
গ) আরেক দিক থেকে যাকাতদাতাদের পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা যথাস্থানে না যাওয়ায় এবং যথাযথ কাজে ব্যবহার না হওয়ায় যাকাতদাতাদেরকে ফরয ইবাদতের কবুলিয়াত থেকে বঞ্চিত করছে। নাউযুবিল্লাহ! অর্থাৎ যাকাতদাতাদের কোন যাকাতই আদায় হচ্ছে না। কাজেই এ সমস্ত সংগঠনে পবিত্র যাকাত উনার টাকা প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
৩। অনুরূপভাবে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা আত্মসাতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’। এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধদের ‘যোগ সাধনা শিক্ষা’ প্রদানের একটি প্রতিষ্ঠান, যা মুসলমান উনাদের জন্য শিক্ষা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। এই প্রতিষ্ঠানটি একদিকে এই কুফরী শিক্ষা বাস্তবায়ন করে মুসলমান উনাদের ক্ষতিগ্রস্থ করছে, অন্যদিকে মুসলমান উনাদের পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, দান-ছদকা, মান্নত বা কুরবানীর চামড়া বিক্রিকৃত টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা তাদের কুফরী কর্মকা-ে ব্যবহারের মাধ্যমে গরীব-মিসকীনের হক্ব বিনষ্ট করছে। অপরদিকে যাকাত প্রদানকারীদেরকেও তাদের ফরয ইবাদত থেকে বঞ্চিত করে কবীরা গুনাহে গুনাহগার করছে। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই মুসলমানদের জন্য কাফিরদের এই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর, ছদকা, মান্নত ও কুরবানীর চামড়া বা চামড়া বিক্রিকৃত টাকা প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয তো অবশ্যই, এমনকি সাধারণ দান করাও হারাম ও নাজায়িয।
৪। নিছাব পরিমাণ মালের অধিকারী বা ধনী ব্যক্তিকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না। এদেরকে পবিত্র যাকাত দিলে আবার তা নতুন করে আদায় করতে হবে।
৫। মুতাক্বাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী আলিমগণ উনাদের মতে কুরাঈশ গোত্রের বনু হাশিম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত জাফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আকীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বংশধরের জন্য পবিত্র যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়। তবে মুতাআখখিরীন অর্থাৎ পরবর্তী আলিমগণ উনাদের মতে বৈধ।
৬। অমুসলিম ব্যক্তিকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
৭। যে সমস্ত মাদরাসায় ইয়াতীমখানা ও লিল্লাহ বোডিং আছে সেখানে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে এবং যে সমস্ত মাদরাসায় লিল্লাহ বোডিং নেই সেখানে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
৮। দরিদ্র পিতামাতাকে এবং উর্ধ্বতন পুরুষ অর্থাৎ দাদা-দাদী, নানা-নানীকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
৯। আপন সন্তানকে এবং অধঃস্তন পুরুষ অর্থাৎ নাতি-নাতনীদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
১০। স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে পবিত্র যাকাত দিতে পারবে না।
১১। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইয়াতীমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ের জন্য পবিত্র যাকাত আদায়কারী নিযুক্ত হলে তাকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
১২। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যদি উপার্জন ছেড়ে দিয়ে পবিত্র নামায-রোযা ইত্যাদি নফল ইবাদতে মশগুল হয়ে যায় তাকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না। তবে সে যদি উপার্জন না থাকার কারণে পবিত্র যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত হয় তবে যাকাত দেয়া যাবে।
১৩। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অনুযায়ী যারা আমল করেনা অর্থাৎ যারা পবিত্র শরীয়ত উনার খিলাফ আমল ও আক্বীদায় অভ্যস্ত তাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
১৪। যারা পবিত্র যাকাত গ্রহণ করে উক্ত যাকাতের টাকা দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নাফরমানীমূলক কাজে মশগুল হয় তাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না। যেমন এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা নেকী ও পরহিযগারী কাজে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগীতা কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘন কাজে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগীতা করনা।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
১৫। বেতন বা ভাতা হিসেবে নিজ অধিনস্ত ব্যক্তি বা কর্মচারীকে পবিত্র যাকাত উনার টাকা দেয়া যাবে না।
১৬। যাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত বহির্ভুত তাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না। যারা হারাম কাজে অভ্যস্ত তাদেরকে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
১৭। জনকল্যাণমূলক কাজে ও প্রতিষ্ঠানে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না। যেমন: আমভাবে লাশ বহন ও দাফন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, হাসপাতাল নির্মান, বৃক্ষরোপন, পানির ব্যবস্থাকরণ ইত্যাদি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পবিত্র যাকাত দেয়া যাবে না।
স্ত্রীর সম্পদ বা অলঙ্কারের যাকাত কে দিবে ?
স্বামী-স্ত্রীর সম্পদ একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও মালিকানা যদি ভিন্ন হয় তাহলে অবশ্যই প্রত্যেককে তা পৃথকভাবে পবিত্র যাকাত আদায় করতে হবে। স্ত্রীর যদি অলঙ্কারও হয়। তা থেকেই তাকে পবিত্র যাকাত আদায় করতে হবে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاَقِمْنَ الصَّلٰوةَ وَاٰتِينَ الزَّكٰوةَ وَاَطِعْنَ اللهَ وَرَسُوْلَه ۚ
অর্থ: “আর তোমরা (মহিলারা) পবিত্র নামায কায়িম কর ও পবিত্র যাকাত প্রদান কর এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য কর।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
তবে স্ত্রীর অলঙ্কার ব্যতীত অন্য কোন সম্পদ না থাকলে সেক্ষেত্রে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে প্রদানকৃত হাত খরচের টাকা থেকে বাঁচিয়ে বা কিছু অলঙ্কার বিক্রি করে হলেও পবিত্র যাকাত আদায় করতে হবে। স্ত্রীর অলঙ্কারের যাকাত স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী আদায় করলেও পবিত্র যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে নারী সম্প্রদায়! তোমরা ছদকাহ তথা পবিত্র যাকাত প্রদান করো যদিও তোমাদের অলঙ্কারও হয়।” (বুখারী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, “হযরত আমর ইবনে শু’আইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত পিতা থেকে তিনি উনার সম্মানিত দাদা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এক মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি আগমন করেন, উনার সাথে উনার একজন কন্যা ছিলেন। উনার কন্যার হাত মুবারক-এ সোনার দুটি মোটা চুরি ছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আপনি কি এর পবিত্র যাকাত প্রদান করেন? তিনি বলেন, না। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আপনি কি পছন্দ করেন যে, আপনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিয়ামতের দিন এই দুটির পরিবর্তে আগুনের দুটি চুড়ি পরাবেন? তখন তিনি চুড়ি দুটি খুলে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রদান করেন এবং বলেন, এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য।” (আবূ দাঊদ শরীফ)
পবিত্র যাকাত উনার হিসাব কখন থেকে করতে হবে ?
পবিত্র যাকাত বছরান্তে ফরয হয় এবং বছরান্তে পবিত্র যাকাত উনার হিসাব করা ওয়াজিব। চন্দ্র বছরের তথা আরবী বছরের যে কোন একটি মাস ও তারিখকে পবিত্র যাকাত হিসাবের জন্য নির্ধারণ করতে হবে। বাংলা বা ইংরেজী বছর হিসাব করলে তা শুদ্ধ হবে না। পবিত্র যাকাতযোগ্য সকল সম্পদ ও পণ্যের বেলায় এই শর্ত আরোপিত কিন্তু কৃষিজাত ফসল, মধু, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বছরান্তের শর্ত নেই। প্রতিটি ফসল তোলার সাথে সাথেই পবিত্র যাকাত (উশর) আদায় করতে হবে কম বেশী যা-ই হোক। তবে ছদাকাতুল ফিতর-এর জন্য বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত নয়। পবিত্র ঈদের দিন ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই ছাহিবে নিছাব হলে ছদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। আর পবিত্র কুরবানী উনার হুকুমও অনুরূপ অর্থাৎ ১০, ১১, ১২ই যিলহজ্জ শরীফ উনার মধ্যে যে কোন দিন মালিকে নিছাব হলে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। তবে হিসাবের সুবিধার্থে পহেলা রমাদ্বান শরীফ; এ পবিত্র যাকাত হিসাব করা যেতে পারে। তবে এটাই উত্তম ও পবিত্র সুন্নত মুবারক।