মূলত কোরবানি যথাসময়ে জীবিত ব্যক্তির তরফ থেকেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অবশ্য ইচ্ছা করলে তার সওয়াবে জীবিত অথবা মৃত আত্মীয়-স্বজনকেও শরীক করতে পারে। যেহেতু আমরা দেখি রাসূলুল্লাহ [সা.] ও তাঁর সাহাবাগণ নিজেদের এবং পরিবার-পরিজনদের তরফ থেকে কোরবানি করতেন। অনেকের ধারণা কোরবানি শুধু মৃত ব্যক্তিদের জন্য বা তাদের পক্ষ থেকে করা হবে। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়।
কেবল মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কোরবানি করার কোন দলীল নেই। তবে মৃত ব্যক্তিদের জন্য কোরবানি করা জায়েয ও একটি সওয়াবের কাজ। কোরবানি একটি সাদকা। আর মৃত ব্যক্তির নামে যেমন সদকা করা যায় তেমনি তার নামে কোরবানিও দেয়া যায়। মৃতব্যক্তি এর দ্বারা উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ।
যেমন নবীজি নিজের নামে এবং উম্মতের নামে কোরবানী করতেন সুস্থ্য সবল সুঠাম দুটি খাসী। নবীজির উম্মতের মধ্যে জীবিত মৃত সকল উম্মত এমনকি অনাগত উম্মত ও শামিল ।
মৃত ব্যক্তি যদি কোরবানির জন্য ওসিয়ত না করে থাকে তবে তার পক্ষ থেকে দেওয়া কোরবানির গোশতের হুকুম সাধারণ কোরবানির মতো; নিজেরাও খেতে পারবে অন্যদেরকেও দিতে পারবে। পুরোটা সদকা করা জরুরি নয়। তবে মৃত ব্যক্তি যদি অসিয়ত করে যায় এবং তার সম্পদ দ্বারাই কোরবানি করা হয়ে থাকে তাহলে এ কোরবানির পুরো গোশত সদকা করা জরুরি। এ থেকে নিজেদের খাওয়া জায়েয হবে না। [ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৩; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৫২; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৩৫]
তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, একটি কোরবানিকে নিজের তরফ থেকে না দিয়ে কেবলমাত্র মৃতের জন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক নয় এবং এতে আল্লাহ তাআলার সীমাহীন করুণা থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়। বরং উচিত হচ্ছে, নিজের নামের সাথে জীবিত-মৃত অন্যান্য আত্মীয়-পরিজনকে কোরবানির নিয়তে শামিল করা। যেমন- আল্লাহর নবী (সা.) কোরবানি জবেহ করার সময় বলেছেন, হে আল্লাহ! এ (কোরবানি) মুহাম্মাদের তরফ থেকে এবং মুহাম্মাদের বংশধরের তরফ থেকে। সুতরাং তিনি নিজের নাম প্রথমে নিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে বংশধরদেরকেও তার সওয়াবে শরীক করেছেন।
اقول هذا ماستطيع من ضوء السنة والله أعلم بالصواب
১৩৩৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
ইমাম বোখারী ও মুসলিম একযুগে বর্ণনা করেন-عن ابي هريرة رضي......
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আলোচনায় পবিত্র কালামে পাকে ঘোষণা করা হয়েছে......
ইমাম বুখারী (রাহঃ)বলেন,আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি......
ফেরাউনি সৈনিকদের হাত থেকে শিশু মূছা ( আ:) কে সুরক্ষা......
পৃথিবীতে প্রতিটি সভ্য জাতি যখন নিজেরা পরস্পরের সাথে মিলিত হয়......
আল্লাহর একত্ববাদ,নামাজ ও মদের ব্যাপারে দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম......
বিশ্ব মানবের মধ্যে সৃষ্টিগত কোন পার্থক্য নাই। সকলেই আল্লাহর কাছে......
মুসল্লিগন নামাজে কখন দাঁড়াবেন তা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য পরিলক্ষিত......
গান বাজনা খেল তামাশা চরিত্র বিনষ্ট করণের বড় এক উপকরণ।......
عن ابي هريرة رضي الله تعالي عنه قال رسول الله......