হালাল হারামের সুফল কুফল
সমস্থ প্রসংশা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি হালাল রিযিক তালাশ করা আমাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন, এবং লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম ঐ নবীর(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপর যিনি হালাল রিযিক তালাশের ব্যাপারে উম্মতকে খুব তাকিদ দিয়েছেন।এবং
তার পরিবার ও আসহাবের উপর যারা হারাম থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
রাসুল(দ:)হাদিসে পাকে এরশাদ করেছেন।
অর্থাৎ মানুষের কাছে এমন এক কাল আসবে,রিযিক তালাশের ব্যাপারে কোন পরওয়ানা করবেনা,এটা কি হালাল হচ্ছে না হারাম যাছায় ও করবেন না।
বর্তমান সমাজের প্রতি তাকালেই বুঝা যায়,রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদিস মোতাবেক কালটা আমার কাছে বিদ্যমান,বর্তমান মানুষ চাই শুধু টাকা পয়সা অর্জন করতে হালাল কিংবা হারাম হচ্ছে ।ঐ দিকে দৃষ্টি দেয়না, তাই আমি অধম সংক্ষেপে হারামের উপর আলোচনা করব যাতে পাঠক বৃন্দ পড়ে নিজেকে হারাম থেকে বিরত রাখে।আললাহ্ তা’আলা তৌফিক দান করুক আমিন!
আললাহ তা’আলা কোরআন করিমে এরশাদ করেন
হে ঈমানদার গণ আমি তোমাদের কে যা রিযিক দিয়েছি তা থেকে পবিত্র গুলো খাও।
অন্য আয়াতে আললাহ তা’আলা বলেন,
আললাহ তাঁর রাসুলদের সম্বোধন করে বলেন, হে রাসুলরা আপনারা হালাল খান এবং ভাল কাজ করেন।
এভাবে কোরআনে পাকের বিভিন্ন আয়াতে আললাহ তা’আলা তার বান্দাদের আদেশ দিয়েছে, হালাল ‡খয়ে হারাম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অথচ মানুষ আললাহ ও তার হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুকুমের দিকে নজর করেনা, দুনিয়া নিয়ে এমন বাবে মগ্ন হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে এটাই স্থায়ী সে জন্য কোরআনে আললাহ্ তা’আলা বলেন, ‘‘বরং তোমরা দুনিয়াকে প্রাধাণ্য দিচ্ছ অথচ আখিরাত উত্তম ও স্থায়ী।
আমরা পরকালের জন্য একটুও চিমতা করিনা, কবরে আখিরাতের শামিতর কামনা ও করিনা। নিজের শরীর কে হারাম থেকে বাঁচাতে না পারলে পরকালে জাহান্নাম ছাড়া তার কোন উপায় নাই। আললাহ্ তা’আলা আমাদের হিফাজত করুক।আমিন!
হালাল রিযিক তালাশ করা ফরজ
নামাজ,রোজা,হজ্ব ও যাকাত যে ভাবে ফরজ হালাল অন্বেষন করাও ফরয যেমনঃ
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, হালাল রিযিক তালাশ করা ফরজের পর ফরজ (কুতুল কুলুব, বায়হাক্বী)
হালাল রিযিক অন্বেষনের ফযিলত
হাদিসে পাকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যাপক ভঅবে উৎসাহিত করেছেন হালাল রিযিক তালাশে যেমন,
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আপন পরিবার কে হালাল রিযিক দেওয়ার ক্ষেত্রে চেষ্টা করে ঐ ব্যক্তি আললাহর রাস্তায় জিহাদ কারীর মত এবয় যে ব্যক্তি দুনিয়াকে তালাশ করবে হালালের মাধ্যমে তার মর্যাদা শহীদের মত।(কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে লাঞ্চিত করে হালাল তালাশ করে হারাম থেকে বেঁচে থাকে, রাববুল আলামিন তাকে ছিদ্দিকীনের সাথে হাশর করাবেন এবং কিয়ামতের কাতারে শহীদদের কাতারে প্রমেশন করবেন। (কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে ব্যক্তি চায় তার ক্বলবে আলালাহ তায়ালার ভয় সৃষ্টি হোক এবং ছিদ্দিকীনদের নির্দশনায়তায় ক্বলব খোলে যাক, তার উচিত সে যেন হালাল রিযিক তালাশ করে এবং সুন্নাত কাজ করে, সুন্নাতের খিলাপ কাজ থেকে বিরত থকে। (কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি হালাল রিযিক খাবে এবং সুন্নাত মোতাবেক কাজ করবে সে এই জাতূর আবদাল তথা বেলায়তের উঁচু স্থানে আসিন হবে। (কুতুল কুলুব)
হারাম রিযিক খেয়ে কখনো জান্নাতে যাওয়া যাবে না।যেমন-
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, যে শরীরের মাংস হারামে গঠিত ঐ শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না বরং জাহান্নাম তকার অধিক হক্বদার অর্থাৎ জাহান্নাম ছাড়া উপাই নাই।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,যে শরীরের খাদ্য হারাম ছিল ঐ শরীর নিয়ে জান্নাতে যাওয়া যাবেনা। (বায়হাক্বী, মিশকাত)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,যে মানুষ হারাম সম্পদ অর্জন করে এবং সেখান থেকে ছদকা করে, হারাম ছদকা গ্রহণ করে, অথবা কোন কিছু খরচ করে না বরং বাড়াতে থাকে, তার ইন্তিকালের পর সম্পদ গুলো রেখে যায়, সব প্রকারে তার জন্য আগুন বাড়তে থাকে।অর্থাৎ (সম্পদ গুলা আগুন হয়ে তাকে শাস্তি দেবে) নিশ্চ রাববওল আলামীন খারাপ দিয়ে খারাপকে মুছে দেয়না , বরং ভাল দিয়ে খারাপকে মুছে দেয়। খঅবিচ সম্পদ খবিচতাকে দূর করে না। ( আহমদ, শরহে সুন্নাহ)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ অর্জন করে তার থেকে ছদকা খাইরাত করে আল্লাহ তার মছদকা কে ক্ববুল করবেন না। (কুতুল কুলুব)
ওযমন অন্য হাদেসে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা পবিত্র ছাড়া ক্ববুল করবেন না। (মিশকাত)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,যে ব্যক্তি পেটে হারাম খাওয়া নিয়ে নামাজ পড়ে অথবা তার পিঠে হারাম বুঝা নিয়ে নামাজ পড়ে, তার নামাজ ক্ববু হবেনা। (কুতুল কুলুব)
আজ কাল মানুষ হারাম খঅয় এবং মসজিদের প্রথম কাতারে বসে নামাজ আদায় করে, সরকারের ফরমান মোতাবেক তার নামাজ গ্রহণীয় নয়।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,আমলের যাকাত হল হালাল খাওয়া , খাওয়ার যদি হালাল হয় আমল পবিত্র ও কল্যাণময় হবে, নতুবা হারাম খেয়ে খেয়ে রাত ভর ইবাদত করলে কোন ফায়েদা হবে না।
(মিশকাত ,কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি হলাল অর্জন করতে লজ্জা করে সে কখনো সফলতা অজূন করতে পারে না। (কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,হারাম খাওয়া , হারাম তালাশ করা এবং হারাম কাউকে খাওয়ানো ফাসিকের কাজ। (কুতুল কুলুব)
হালাল খাওয়া দোয়া ক্ববুলের মাধ্যম
হালাল খাওয়ার খেয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলে ক্ববুল হয়ে যায় পক্ষান্তরে যার শরীরে হারাম রয়েছে সে রাত দিন দোয়া করলে ক্ববুল হবে না। যেমন -
হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াককাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ আমাকে কিভাবে মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (যার দোয়া সাথেসাথে ক্ববুল হয় )বানাবেন? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেন তুমি তোমার খাদ্যকে পবিত্র করলে দিায়া সাথে সাথে ক্ববুল হয়ে যাবে। (কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, দোয়া আসমানে আটকে পড়ে থাকে খাদ্য হারাম হওয়ার কারণে। (কুতুল কুলুব)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, রাববুল আলামীন বান্দার দোয়া ক্ববুল করেন না যতক্ষন না তাদের খাওয়ার হালাল ও আমল ভাল হবে না। (কুতুল কুলুব)
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ঘটনা
আমাদের কাছে অবশ্যই জানা আছে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নামক বাগদাদে এক অত্যাচারী বাদশা রাজদ্ব করেছিল, একদিন তার দরবারের একদূত এসে বলল হুজুর আপনি জুলুম করতে বর্তমানে একটু চিন্ত করে করিয়েন, হাজ্জাজ বলে কেন ? সে বলল বাগদাদে এক দল আল্লাহর বান্দা প্রবেশ করেছে যারা হাত তুললেই দোয়া ক্ববুর হয়ে যায়। তারা যদি আপনার বিরুদ্ধে বদ্ দোয়া করে দেয় আপনার রাজদ্ব চলে যাবে। সাথে সাথে হজ্জাজ কিছুক্ষণ চুপ মরউল তার পর বলল তুমি যাও তাদেরকে আমার শাহী দরবারে দাওয়াত দিয়ে আস। দূ গিয়ে ঐ দলটাকে দাওয়াত দিয়ে আসে, নির্দিষ্ট সময় মোতাবিক তারা আসলেন, বাদশা সহ তাদের মেহমানদালী করলেন, তাদের কে বিদায় দেওযার পর হাজ্জাজ তার আসনে এসে খুব হাঁসচে তখন দূত দেখে জিজ্ঞাস করে হুজুর আপনি এত আনন্দিত কেন? বাদশাহ বলল আমার যে ভয় ছিল আজকে তা চলে গেছে। তুমি যে আমাকে খবর দিয়েছিলে ঐ দলটা হাত তুললেই দোয়া ক্ববুল, আজ থেকে সাথে সাথে ক্ববুল হবেনা ।কত্মণ আমি তাদের কে হারাম খঅদ্য খাওয়ায় দিয়েছি । রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন , যার পেটে হারাম ঢুকে গেছে তার দোয়া ক্ববুল হবেনা। উল্লেখিত হাদিস ও ঘটনা থেকে আমরা বুঝতি পারি , যারা হারাম থেকে বেঁচে থাকেনা তাদের দিায়া আল্লাহর দরবারে ক্ববুল হবেনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সমাজে হরামের ব্যাপারে খুব উদাসীন। যে যেদিকে পারে কার থেকে কে পয়সা ওয়ালা হতে পারে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা দিচ্ছে , হালাল, হারাম পার্থক্য করছেনা।
(নাউযুবিল্লাহ)
২৩১২
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা......
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” কোরবানির দিন কোরবানির দিনের ফজিলত (১) এ......
আমাদের সমাজের সকল মানুষ এবং ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞানও......
বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মহানবী (সা:) নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তো বটেই......
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও গুণগান একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও প্রতিপালক......
শাওয়াল হলো আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস। এটি হজের তিন......
হজ একটি ফরজ ইবাদত। নামাজ, রোজা, জাকাত যেমন ফরজ ইবাদত,......
কুরআন সব মানুষের সার্বিক দিক ও বিভাগের সমন্বিত একটি পরিপূর্ণ......
যাকাত এর সংজ্ঞা: যাকাত শব্দের অর্থ শুচিতা ও পবিত্রতা, শুদ্ধি......
হালাল হারামের সুফল কুফল সমস্থ প্রসংশা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি......